• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে  যেভাবে সতর্ক থাকবেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১৮ এএম;
রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে  যেভাবে সতর্ক থাকবেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়
রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে  যেভাবে সতর্ক থাকবেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার  নামে সাপ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া, বোড়া বা উলুবোড়া) নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিষয়ে সাবধানতা সচেতনতার জন্য বিবৃতি দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।.

 .

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মানুষের সঙ্গে সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সাপ সাধারণত নিচুভূমির ঘাসবন, ঝোপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। সাপটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।  জন্য সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।.

কামড় এড়াতে করণীয়.

# যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।.

# লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢোকাবেন না।.

# সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট লম্বা প্যান্ট পরুন।.

# রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চলাইট ব্যবহার করুন।.

# বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার আবর্জনামুক্ত রাখুন।.

# পতিত গাছ, জ্বালানির লাকড়ি খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।.

# সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।.

# প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন অথবা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।.

সাপের কামড়ের পর যা করণীয়.

# দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে কামড়ালে বসে পড়তে হবে, হাঁটা যাবে না। হাতে কামড়ালে হাত নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত পায়ের গিড়া নাড়াচাড়ায় মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে।.

# আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে।.

# ঘড়ি, অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলুন।.

# দংশিত স্থানে কাটবেন না, সুঁই ফোটাবেন না, কিংবা কোনো রকম প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়।.

# সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।.

# যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যান।.

# আতঙ্কিত হবেন না, রাসেল ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।.

বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে পর্যাপ্ত বিষের প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম আছে। সব জায়গায় হাসপাতালগুলোয় অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।.

রাসেলস ভাইপারের প্রাদুর্ভাব কমাতে করণীয়.

বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বনবিড়াল, মেছো বিড়াল, তিলা নাগ ইগল, সারস, মদনটাক পাখি এবং কিছু প্রজাতির সাপও রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এসব বন্য প্রাণী মানুষ নির্বিচার হত্যার কারণে প্রকৃতিতে রাসেলস ভাইপার বেড়ে যাচ্ছে। তাই বন্য প্রাণী দেখলেই অকারণে হত্যা আবাসস্থল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।.

মনে রাখা প্রয়োজন, রাসেলস ভাইপার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর () ধারা অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রাণী। রাসেলস ভাইপার ইঁদুর খেয়ে যেমন ফসল রক্ষা করে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাপের বিষ থেকে অনেক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হয়। সাপ মারা দণ্ডনীয় অপরাধ, সাপ মারা থেকে বিরত থাকুন।.

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ বন বিভাগ উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সচেতন সমাজের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।.

 . .

ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল হাসান, ঢাকা:

জাতীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ